মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া কে স্ট্রোক হিসেবে সনাক্ত করা হয়। স্ট্রোকের শিকার রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সেই অংশের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।তার ফলে কোষ কার্য ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।যার অনেক সময় মৃত্যু ও হতে পারে।
স্ট্রোকের শিকার রোগীদের মধ্যে দুই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়
প্রথম টি হচ্ছে রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোক
দ্বিতীয় টি হচ্ছে স্কিমিক স্ট্রোক।
UK national helth serivce (NHS)
এর ভাষ্য অনুযায়ী
অনেক সময় সামরিক মাথায় রক্ত চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় । সেটিকে মিনি স্ট্রোক হিসেবে সনাক্ত করা হয়।যেটি১৫ সেকেন্ড থেকে ২৪ঘনটা পর্যন্ত থাকতে পারে।
স্ট্রোকের অক্লান্ত রোগীদের অনেক সময় মুখের এক পাশে ঝুলে যেতে পারে।কারো শরীরে এক পাশে অবস হয়ে যেতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দুই হাত অবশ হয়ে যার। অনেকে হয়তো অবশ না হলেও শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ সঞ্চালনের সময় দূর্বলতা দেখা দেয়। কিছু রোগী দের ক্ষেত্রে ভালো করে কথা বলতে না পাড়া চোখের দৃষ্টি শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে ওকানে কম শোনা রোগে ভুগগেন।
স্ট্রোকের লক্ষণ তৎক্ষণাৎ দেখা দিলে তার প্রতিকার
স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তার পর সিটি সক্যান বা MRIকরতে হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা পর। ঔষধ ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা মাধ্যমে রোগ কে সুস্থ করে তোলা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেক সময় রক্ত সঞ্চালনে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে অপারেশন করতে হয়। অনেক স্ট্রোকের অক্লান্ত মানুষের শরীরে কোন অঙ্গ অচল হয়ে যায়।(NHS)
স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেওয়া সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে স্ট্রোক অক্লান্ত মানুষ সুস্থ হয়ে উঠে।
🫁স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা স্ট্রোকের রোগীদের শরীরের সমস্যা জন্য কিছু দিক উল্লেখযোগ্য আলোচনা করেছেন।
সেই গুলো হচ্ছে অতিরিক্ত ধূমপান আসক্তি ও মাদক আসক্তি থেকে বিরত থাকা। দূর চিন্তা করা সব সময় কোন না কোন মানসিক রোগে ভুগে থাকেন
মানুষকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও সবুজ শাকসবজি ফলমূল খেতে পারেন।তার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা/DW