ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক কেন গ্রহন করবেন আর কেন করবেন না !!!!?

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক এমন এক পানীয় যা শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে  সহায়ক। এটি মিনারেল যা আমাদের দেহে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন পেশির সংকোচন এবং শিথিলকরণ,স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখা এবং জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করা।

  • ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকের উপকারিতা:
  • পানিশূন্যতা পূরণ: ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা ব্যায়ামের পরে শরীরের হারানো পানি এবং লবণ পূরণে সহায়তা করে।
  • শক্তি প্রদান: এই ড্রিংকগুলি গ্লুকোজ বা অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে যা শরীরের দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
  • পেশির খিঁচুনি : ইলেক্ট্রোলাইট পেশির সংকোচন এবং শিথিলকরণে সাহায্য করে, যা পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধে সহায়ক।
  • অসুস্থতার সময়:ডায়রিয়া বা বমির মতো অবস্থায় শরীর থেকে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইট হারিয়ে যায়। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক দ্রুত এই অভাব পূরণ করতে পারে।

সাধারণ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকের উপাদান:
-সোডিয়াম: রক্তে জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা সহায়তা করে।
– পটাসিয়াম:পেশি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখে।
– ক্যালসিয়াম: হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশির কার্যকারিতায় ভূমিকা রাখে।
– ম্যাগনেসিয়াম: শক্তি উৎপাদন এবং প্রোটিন সংশ্লেষণে সহায়ক।

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকের অপকারিতা:
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক সাধারণত পানিশূন্যতা এবং ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব মেটাতে ব্যবহৃত হয়, তবে এর কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। নিম্নলিখিত কয়েকটি অপকারিতা উল্লেখ করা হল:

১. উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম :
অনেক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

২. চিনি এবং ক্যালোরি:
অনেক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকে অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যালোরি থাকে যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই ধরনের পানীয় নিয়মিত পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।

৩. কিডনির উপর :
অতিরিক্ত ইলেক্ট্রোলাইট কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য। কিডনি সঠিকভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ফিল্টার করতে না পারলে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।

৪. পেটের সমস্যা:
কিছু ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকে উচ্চ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহণে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া এবং পেটের অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

৫. অন্যান্য উপাদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অনেক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম রং, ফ্লেভার এবং প্রিজারভেটিভ থাকে যা কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জি বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

৬. মিথ্যা নিরাপত্তা:
অনেকেই মনে করেন যে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক পানের মাধ্যমে তারা পূর্ণ সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পানই আসল স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

এইসব দিক বিবেচনায় রেখে, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক গ্রহণ করার সময় সতর্ক থাকা উচিত এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


#বাংলার_সংবাদ #BanglarSongbaad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *