নিরাপদে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে আম খেতে চাইলে মৌসুমের সময় আম খাওয়া উচিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিজনের আগে যেসব আম পাওয়া যায় তা মূলত অপরিপক্ব আম। তবে অপরিপক্ব বলতে একেবারে কাচা বুঝানো হয়নি। এগুলো কাটলে দেখা যায় আঁটিগুলো নরম। কিন্তু আমগুলো বাজারে আসে পরিপক্ব রুপে যা কিনা ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে পাকানো হয়।
তাই সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
কারবাইডে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে তা নিচে উল্লেখ করা হল:
- কারবাইডে পাকানো আম পুরো চারপাশ জুড়ে সমানভাবে পাকা থাকে এবং তা দেখতে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় বর্ণের হয়। অন্যদিকে, গাছ পাকা আম অথবা গাছ হতে আম সংগ্রহ করার পর যা প্রাকৃতিকভাবে পেকে যায় তা চারপাশ জুড়ে সমানভাবে দেখতে পাকা হয় না।
- আম কিনে আনার পর হালকা কুসুম গরম লবণ মিশ্রিত পানিতে মিনিট দশেক ডুবিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন কারবাইডে পাকা আমের ঘনত্ব কম তাই যদি আম পানিতে ভেসে থাকে তখন বুঝে নিবেন তা ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে পাকানো হয়েছে। রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত নয় এমন আমের ঘনত্ব বেশি হয়ে থাকে তাই সেটি পানিতে ডুবে যায় যা আমের স্বাভাবিকতার নির্দেশ বুঝায়।
- আমরা লবণ খেয়ে থাকি যাতে প্রচুর আয়োডিন থাকে। আর এই আয়োডিন কয়েক ফোঁটা আম কেটে তার উপড় মিশ্রিত করলে যদি কাল রঙ হয় তবে বুঝে নিতে হবে আমটি প্রাকৃতিক নিয়মে পেকেছে। বিশেষ ক্ষেত্রে গাঢ় নীল রঙ ও লক্ষ্যণীয় হয়। এর ব্যতিক্রম ঘটলে বুঝে নিবেন ক্যালসিয়াম কারবাইডে পাকানো হয়েছে।
এছাড়াও ঘরোয়া আরও বিভিন্ন টোটকা রয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে পাকা আম চেনার উপায়। আমরা বাংলার সংবাদ টিম উক্ত বিষয় নিয়ে অনেক রিসার্চ করেছি এবং আমাদের সাধ্যমতো আপনার সঠিক তথ্য দিয়েছি।